Eastmedinipur

Mar 04 2023, 20:08

নন্দীগ্রামের গোকুলনগর অধিকারী পাড়ায় বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হল কয়েকটি বাড়ি

পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামের গোকুলনগর অধিকারী পাড়ায় বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হল কয়েকটি বাড়ি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গোয়াল ঘরের ধুনুচির আগুন থেকে আগুন লাগে, পরে বাড়িতে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার বাস্ট হয়ে পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল পাশাপাশি আরও কয়েকটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। তবে মোট কয়টি বাড়ি ভষ্মীভূত হয়েছে এখনো পর্যন্ত সঠিক জানা যায়নি। এলাকার লোকজনের সাহায্য বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রনে।

Eastmedinipur

Mar 04 2023, 09:35

*পথ দুর্ঘটনায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু,চাঞ্চল্য*


নন্দকুমারঃ হলদিয়া মেছেদা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যাত্রীবাহী বাসের সাথে সাইকেল আরোহীর মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত্যু হল সাইকেল আরোহী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নন্দকুমারের খঞ্চির কাছে । জানা যায়, হলদিয়া মেছেদা একটি যাত্রীবাহী বাস মেছাদা থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল।

খঞ্চির কাছে হঠাৎ করে যাত্রীবাহী বাসটির সামনে সাইকেল চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজারে ধাক্কা মারে‌ সাইকেল আরোহীকে, এরপর তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী‌। তবে পুলিশ সূত্রে খবর এখন পর্যন্ত মৃত্যু সাইকেল আরোহীর নাম ঠিকানা জানা যায়নি।পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেস্টা করছে।

Eastmedinipur

Mar 03 2023, 19:58

*টোটো চালক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পাশে ছাত্রদল, খুশি দেবশ্রী*


কোলাঘাটঃ পরিবারের হাল ধরতে টোটো চালাতো কোলাঘাটের দেবশ্রী।এবছর সে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। টোটো নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ে। দেবশ্রী দারিদ্রতার কথা শুনে তার পাশে দাঁড়ালো কোলাঘাটের ছাত্রদল।

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের দেবশ্রীর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালো পাঁশকুড়ার ছাত্রদল। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে  খবরের শিরোনামে উঠে আসা দেবশ্রী খাঁড়া। দু বছরের পড়াশোনার দায়ভার নিয়ে ছাত্রদল দেবশ্রী খাঁড়ার পাশে দাঁড়ায়। দরিদ্র পরিবারের ছোট মেয়ে দেবশ্রী খাঁড়া, এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয় তাঁর, টোটো চালিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের কোলা গ্রামের বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী দেবশ্রী খাঁড়া। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট গার্লস স্কুলের মাধ্যমিকের ছাত্রী দেবশ্রী খাঁড়া।

দেবশ্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল আজ শেষ হয় তাঁর পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হতেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রোজগারের চিন্তায়, আবার সন্দেহ হলে নিজের বাড়ির কাজ সামলায় দেবশ্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন নিজেই টোটো চালিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে খবর শিরোনামে উঠে আসে কোলাঘাটের দেবশ্রী। প্রতিটি পরীক্ষার দিনই এমনি করেই পরীক্ষার সেন্টারে আসত।দেবশ্রীর বাবা সনাতন খাঁড়া কিছু বছর আগে দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পান, পায়ের মধ্যে লাগানো রয়েছে লোহার পাত।

যার ফলে তিনি ঠিক মতো চলাফেরা করতে বা গাড়িতে টানতে পারেন না তাই তার দায়িত্ব ভার নিজের কাঁধে তুলে নেয় তাঁর মেয়ে ১৭ বছর বয়সী দেবশ্রী। তার পরই মেয়ে দেবশ্রী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে আসে। প্রায়শই কোলাঘাট বাজারে টোটো চালায় তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দরিদ্র পরিবারের ছোট মেয়ে দেবশ্রী খাঁড়া।

তবে দেবশ্রীর এই টোটো চালিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসায় বিস্মিত সাধারণ মানুষ থেকে বন্ধু বান্ধবেরাও।

Eastmedinipur

Mar 03 2023, 19:34

*হলদিয়া শিল্পাঞ্চল লাগোয়া হোগলা বনে আগুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য, ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন*


হলদিয়াঃ  সাঁজ সন্ধ্যায় শিল্প শহর হলদিয়ায় আগুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য।পাঁচটি দমকলের চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে।

হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে  ইন্দরামা কারখানায় পিছনে জঙ্গলে আগুণ। ঘটনা স্থলে ৫ টি দমকেলর ইঞ্জিন।প্রায় এক ঘন্টার চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব।তবে পাশেই কারখানা রয়েছে। যথা সময়ে দমকলের ইঞ্জিন না আসায় বড়সড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।আগুন লাগার কারন জানার চেস্টা করছে পুলিশ।

Eastmedinipur

Mar 03 2023, 17:27

*স্কুলের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা এবং শিক্ষকদের দেখে নেওয়ার হুমকি ছাত্রের, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ স্কুলে*


দিঘাঃ স্কুলে দেরিতে এসে স্কুলের ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় স্কুলের শিক্ষক বকাবকি করে। শিক্ষক বকাবকি করায় দেখে নেওয়ার হুমকিদেয় ছাত্রটি। কথা মতো শিক্ষকের রাস্তা আটকে মারধর করার চেস্টা করে স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র। অভিযুক্ত ছাত্রের শাস্তির দাবিতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা।


এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা দেবেন্দ্রলাল জগবন্ধু উচ্চ শিক্ষা বিদ্যালয়ে। স্কুলের অংকের শিক্ষক নন্দগোপাল পাত্রকে  স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র মুস্তাকিন তার দলবল নিয়ে শিক্ষকের পথ আটকে মারধর করে। জানাগিয়েছে ছাত্রটি স্কুলে দেরি করে আসায় এবং স্কুলের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় নন্দবাবু প্রতিবাদ করেন।

তাই ছাত্রটি মাস্টারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, যার ভিডিও  ভাইরাল হয়। পরবর্তীকালে ওই শিক্ষক যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখনই বহিরাগত লোকজন এনে গাড়িকে দাঁড়করিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে স্কুলে উপস্থিত হয় প্রাক্তন ছাত্ররা তাদের মূলত দাবি  ছাত্রটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক এবং স্কুলের পরিবেশকে ফিরিয়ে আনা হোক।

বিক্ষোভে ফলে স্কুলে  পুলিশ পোস্টিং করা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে বিক্ষোভ।  পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।

Eastmedinipur

Mar 03 2023, 15:30

*মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে তারই মাঝে উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে,বাজি ফাটিয়ে কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালানোর অভিযোগ, কটাক্ষ বিজেপি*


কাঁথি : জীবনে প্রথম পরীক্ষা বসছেন ছাত্র-ছাত্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে, শব্দবাজি ফাটিয়ে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চালানোর অভিযোগ উঠলো। খোদ এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি। এমন অভিযোগের উপর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কাঠগড়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও কলেজের অধ্যক্ষ। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ।

সূএ মারফত জানাগেছে, শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ দিন। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ লাগুয়া একাধিক মাধ্যমিক স্কুলের সেন্টার রয়েছে বলে দাবি। শুক্রবার সকালে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উদ্বোধন করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতির তথা পটাশপুরের বিধায়ক উওম বারিক, এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে সহ অন্যান্যরা।

বিজেপি অভিযোগ, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, কলেজ লাগুয়া মাধ্যমিক স্কুলের সেন্টার রয়েছে। তারপরেও উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন হলো।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন " গতকাল সাগরদিঘীতে হারের পরও এদের লজ্জা নেই। এরা নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা করে না। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। শুধুমাত্র কাটমানি ও তোলাবাজির জন্যই একশ্রেণীর ছাত্রের অসুবিধা করেই কলেজ মাঠে খেলা শুরু করেছে। তৃণমূলের নেতারা এখন বিদ্যালয় ও কলেজ পরিচালনা করছেন। তারা যা বলছেন সেই ভাবেই হচ্ছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা করে এই ধরনের অনুষ্ঠান কোনভাবেই করা উচিত নয়। পুলিশ প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করবো "।

যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে কলেজের অধ্যক্ষ। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে বলেন " উচ্চস্বরে কোন মাইক বাজছে না। কে কি অভিযোগ করেছে সেটা জানি না। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই খেলাধুলা হচ্ছে "।

এগরার বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি তরুনকুমার মাইতি জানান, বিরোধীদের কাজই বিরোধিতা করা।তবে নিয়ম মেনে খেলার উদ্বোধন হয়েছে।

Eastmedinipur

Mar 03 2023, 09:57

*দিঘা হাসপাতালে জটিল অপারেশনে সফল চিকিৎসকরা, খুশি রুগির পরিবার*


দিঘাঃ রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘা।সেই

পর্যটন নগরীতে তেমন পরিকাঠামো নেই, তাও দিঘা হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপ্রচার সফল হলো, ৮০ বছরের বৃদ্ধার স্তন থেকে ১২০০ গ্রামের টিউমার বাদ দিলেন চিকিৎসকরা।

দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের জন্ম ইতিহাসে এত বড় মাপের জটিল অস্ত্রোপচার এই প্রথম। আর তাতেই অসাধ্যসাধন করলেন চিকিৎসকরা। তাঁদের এই প্রচেষ্টা সাড়া ফেলে দিয়েছে চারিদিকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এইচডিইউতে বর্তমানে দিব্যি সুস্থ আছেন রামনগর থানার রানিসাই এলাকার বাসিন্দা রোগী বাসন্তী পয়ড়্যা। বায়োপ্সি রিপোর্ট দেখে শুরু করা হবে তাঁর পরবর্তী চিকিৎসা।

আশঙ্কা, ভয় দূরে সরিয়ে জটিল অস্ত্রোপচারে সফল হলেন দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।অস্ত্রোপচার করে ৮০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার স্তন থেকে ১২০০ গ্রাম ওজনের টিউমার বাদ দিলেন চিকিৎসকরা। তাও যে সে টিউমার নয়, বিরল 'ফিলোডস টিউমার'।টিউমার সহ বাদ দিতে হয়েছে স্তনটিও।

আরো জানা যাচ্ছে, ৮ বছর আগে বৃদ্ধা লক্ষ্য করেন যে, তাঁর বাম স্তনে একটু ফোলা ভাব দেখা দিয়েছে। তার পর থেকেই ওই ফোলা অংশ আয়তনে ক্রমশই বাড়তে থাকে। প্রথমে এ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন না হলেও বছর তিনেক আগে বক্ষে অস্বাবিক যন্ত্রণা শুরু হলে দিঘা হাসপাতালের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানে চিকিৎসা করার পরেও তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি। অন্যত্র চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন দিঘা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কিন্তু বৃদ্ধার কোথাও না গিয়ে প্রায়ই যন্ত্রণা বাড়লেই চলে আসতেন দিঘা হাসপাতালে ।

মাস চারেক আগে দিঘা হাসপাতালে যোগদান করেন জেনারেল সার্জেন ডাঃ বীরেন্দ্র কুমার সাঁতরা। তাঁর কাছে চিকিৎসা শুরু করেন বৃদ্ধা। বীরেন্দ্র সন্দেহ করেন যে, তাঁর স্তনে ফিলোডস টিউমার হয়েছে।এর পরই কয়েকদিন আগে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করা হয়।তারপরই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেই মতো বুধবার রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান না করে শুধুমাত্র লোকাল এরিয়াকে অবশ করে প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় বাদ দেওয়া হয় ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ওই টিউমার।

অস্ত্রোপচারে সার্জেন বীরেন্দ্রকুমারকে সাহায্য করেন এনেসথেসিস্ট ডাঃ ধ্রুব মজুমদার এবং হাসপাতালের দুই স্টাফ নার্স। জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করার পরে স্বস্তির হাসি চিকিৎসকদের মুখেও। তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা। দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের সুপার সন্দীপ বাগ বলেন, 'এত বড়মাপের অস্ত্রোপ্রচার এর আগে কখনও হয়নি আমাদের হাসপাতালে। একেবারে খারাপ অবস্থায় পড়েছিল অপারেশন থিয়েটার।শেষ পর্যন্ত অপ্রতুল পরিকাঠামো সম্বল করে ঝুঁকিপূর্ণ এই অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। বৃদ্ধা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরাও খুশি।'

Eastmedinipur

Mar 02 2023, 19:07

*ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের পর বাংলায় ত্রিপুরা মোডেল হবে বলে জানালেন রাজ্য যুব মৌর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ*


মহিষাদলঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলিয় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগ ঘটাতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযান কর্মসূচি চালু করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার মহিষাদল ব্লকের মহিষাদল মন্ডল-২ এর যুব মৌর্চার উদ্যোগে একতারপুর গ্রামে গৃহ সম্পর্ক অভিযান কর্মসূচি পালন করা হয়।

সেই কর্মসূচি অংশগ্রহন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য যুব মৌর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ ত্রিপুরায় তাদের জয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলায় শিক্ষক থেকে সাধারণ মানুষের উপর যেভাবে অত্যাচার করে চলেছে তাতে করে বাংলায় আগামীদিনে ত্রিপুরা মন্ডলকেই বেছে নেবে সাধারন মানুষ এটা আমার বিশ্বাস।

এদিন একতারপুর গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলেন ইন্দ্রনীল। অভাব অভিযোগের কথা শোনেন।   তাদের আশ্বস্ত করেন বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের অভাব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Eastmedinipur

Mar 02 2023, 18:13

*মীরা ফিরে পেলো পরিবার, প্রশাসনের চেস্টায় পাড়ি দিলো মুম্বাই*
তমলুকঃ মীরা ফিরে পেলো পরিবার, প্রশাসনের হাত ধরে পাড়ি দিলো মুম্বাই। বৃহস্পতিবার মীরাকে তার মা এবং মুম্বাই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলো। উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক, সেক্রেটারি জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট সুদীপ্ত বিশ্বাস , জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সারদা গিরি সহ অন্যান্যরা। জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারীক সুদীপ্ত বিশ্বাস জানান, হোমে তাদের চিরকাল রাখা যায় না।

খোঁজ খবর করে বাড়ি ফেরাতে হয় সেই প্রক্রিয়া সফল হলো এবং শুধু বাড়ি ফেরানো নয়, যেটুকু সময় পাওয়া যায় হোমে রাখার জন্য সেই সময়কালে তাদের প্রতিভাগুলি খুঁজে তাকে বিকশিত করে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোই হোমের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি হোম কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীরা। সেজন্য তারা প্রশংসার দাবি রাখে। দরিদ্র পরিবারে জন্মানো মেয়েটির লেখাপড়া শেখার কোন সুযোগ ছিল না। অপুষ্টি অনাহারে বেড়ে ওঠা মীরার বিয়ে হয় মাত্র ১৩ বছর বয়সে।

অনাহারের তাড়নায় মীরা রোজকারের জন্য কাজ শুরু করে । রোড কন্ট্রাক্টারের অধীনে সামান্য পয়সার কাজ-তারপর ১৬ বছর বয়সে দুটি সন্তানের মা হয়ে ওঠা,রোজগার বাড়াতে হবে এই চিন্তায় প্রতিদিন কাজে আসা মীরাকে এমনই একদিন এক অচেনা মহিলা বলে ভিন রাজ্যে কাজে যাবে? প্রতিদিন অনেক টাকা পাবে,বাড়ির ছেলে মেয়েদের আনন্দে রাখতে পারবে ,তাদের লেখাপড়া শেখাতে পারবে। এই লোভে মীরা রাজি হয়ে যায় । নিজের জন্য নয় ,ছেলেমেয়েদের দুবেলা পুষ্টিকর খাওয়ার দিতে পারবে আর লেখাপড়া শেখানোর জন্য স্কুলে পাঠাতে পারবে এই কথা ভেবে মীরা রাজি হয়ে যায় ।

তারপর অচেনা মহিলার সঙ্গে একদিন ট্রেনে উঠে পড়ে ২০১৬ সালে। ট্রেনে আসতে আসতে মীরার মন খারাপ হয় বাড়িতে ফেলে আসা ছেলে-মেয়ে আর মায়ের জন্য। কোন এক স্টেশনে নেমে পড়ে উদ্ভ্রান্তের মতো নিজের বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে মেছাদাতে নেমে হাঁটতে হাঁটতে রাতের দিকে রামতারক এসে পৌঁছালে তমলুক থানার মোবাইল গাড়ির কার্যরত পুলিশের সন্দেহ হয় ।তারা তখন মীরাকে উদ্ধার করে নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির জুভেনাইল জাস্টিস হোমে আনে ।তারপর হোম কর্তৃপক্ষ CWC র অর্ডার করিয়ে হোমে রাখে।


শুরু হয় শারীরিক চিকিৎসা , মানসিক আর কাউন্সেলিং ।সঙ্গে সঙ্গে মিরার শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা ,কাউন্সিলিং করে জানা যায় মীরার বাড়িতে মা,ছেলেমেয়ে আছে। এবার বাড়ি ফেরানোর জন্য তোড়জোড় শুরু হল। মীরা বলতে থাকে বিহারে বাড়ি, বিহারের ধারোড, একমিনার মসজিদ,নাদেরপেড়। এই নামগুলো আলতো আলতো হিন্দিতে বলে ।তখন হোম এর ঈশিতা জানা,দেবশ্রী ত্রিপাটিরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে মোবাইলের সাহায্যে বিহারের ওই জায়গাগুলো খুঁজতে থাকে ,কিন্তু না পেয়ে অন্যান্য রাজ্যে আছে কিনা খুঁজতে খুঁজতে একটি নাম পায়।

তখন মহারাষ্ট্রের পুলিশের সাহায্য নিয়ে তল্লাশি শুরু করতে করতে হঠাৎ করে একদিন পারভনী জেলায় ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। তারপর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওরা জানায় ২০১৬ সালে ওখানে একটি মিসিং ডায়েরী হয়েছে মীরার নামে। তারপর মীরার ছবি পাঠানো হয়। সেখান থেকে চিনতে পারে ।হারিয়ে যাওয়া সেই মেয়েটিকে এরপর বাড়ি ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়।ইতিমধ্যে মীরা হোম থেকে হাত সেলাইয়ের কাজ শিখে গেছে। শুধু সেলাই নয় , খেলাধুলোও মীরা খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করে ।স্পেশাল অলিম্পিকে NCC Floorball প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জ ছিনিয়ে আনে ।এর জন্য পঃবঃ সরকার মীরাকে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে সম্মানিত করে ২০২১ সালে। সব মিলিয়ে জীবন যুদ্ধে হারিয়ে গিয়েও হোমে এসে মীরা হারিয়ে যায়নি।

শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে নিজের উপার্জিত প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে পুত্র- কন্যার কাছে মায়ের হাত ধরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে মীরা হারনি গাইকোয়াড়। বাড়িতে ছেলে এখন চতুর্থ শ্রেণীতে আর কন্যা নবম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। মা বিমলা পান্ডুরাম গাইকোয়াড় দীর্ঘ ছয় বছর পরে মেয়েকে ফিরে পেয়ে বেজায় খুশি ।মীরা ফিরে গেলে নাতি নাতনি কে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠবে গরিব মীরার পরিবার। হোমের সুপার সঞ্চিতা গিরি জানান ,মীরা যখন হোমে আসে তখন শারীরিক মানসিকভাবে খুব বিধ্বস্ত ছিল ।প্রায় অসম্ভব ছিল ওকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু মীরার একটা গুন ছিল ।ও খুব মিশুকে আর পরিশ্রমী ।এই গুনগুলোকে সম্বল করে হোমের পুরো টিম আর জেলা প্রশাসনের চেষ্টা ও নির্দেশকে কাজে লাগিয়ে ওর দক্ষতা বৃদ্ধি করে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি। এই সময়কালের সাফল্য আজকের মীরা। ও বাড়ি ফিরে যাচ্ছে মন খারাপ হলেও আমরা খুব খুশি ওর পরিবার পরিজনদের হাতে তুলে দিতে পেরে।

এভাবেই সালমা, নাসিমা ,সোনিয়া ,পূজাদের বাড়ি ফেরানোর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মীরার সম্পর্কে জানান,হোমে এলে সুস্থ সবল করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বনির্ভর করে বাড়ি ফেরানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে এতেই আমাদের আনন্দ । মীরার জন্য হোমের অন্য সব বন্ধুদের মনে বড় দুঃখ ,তবুও মীরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে এটাই আনন্দ।

Eastmedinipur

Mar 02 2023, 11:54

*সংগ্রামী সুশীলকুমার ধাড়ার ১১৩ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন*
মহিষাদলঃ বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী সুশীলকুমার ধাড়ার কর্মকান্ড তুলে ধরতে প্রতিবছরের মতো এবছর স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীলকুমার ধাড়ার ১১৩ তম উদযাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি ও স্বামী প্রঞ্জানানন্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির উদ্যোগে জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। প্রাঞ্জানানন্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির ভবনে জন্ম জয়ন্তীর অনুষ্ঠান পালিত হয়।

সুশীলকুমার ধাড়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার পাশাপাশি স্মৃতি চারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনটিকে পালন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন সামন্ত, মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী, বিডিও যোগেশচন্দ্র মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হরিপদ মাইতি, স্বামী প্রঞ্জানান্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির সভাপতি সম্পাদক শীতলপ্রসাদ বাগ সহ অন্যান্যরা। ১৯১১ সালের ২ মার্চ অবিভক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের অদূরে অবস্থিত মহিষাদলের টিকারামপুরে সুশীল কুমার ধাড়া জন্মগ্রহণ করেছিলেন।


স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজনীতির সঙ্গে। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় গঠিত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের যুদ্ধ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তমলুকের এই সমান্তরাল সরকারের "বিদ্যুৎ বাহিনী" নামক সশস্ত্র সেনাদলের সর্বাধিনায়কও ছিলেন সুশীল ধাড়া। ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ সরকার সুশীল ধাড়াকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় ধরে দেওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ব্রিটিশ আমলে তিনি বারো বছর চার মাস জেল খেটেছিলেন।


স্বাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একাধিক নির্বাচনে জয়ী হন সুশীল ধাড়া। তিনি মহিষাদল কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং রাজ্য মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে তমলুক কেন্দ্র থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সুশীল ধাড়া। আশির দশকে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে পুরোপুরি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন তিনি। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়